ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে বিজিবি ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। চোরাকারবারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন- নবাব (৩০), সাদেক (৪০), জয়নুল (১৫) ও সোহেল (৩২)। নবাব হরিপুর উপজেলার রুহিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ও সাদেক একই গ্রামের জহিরউদ্দিনের ছেলে। বাকিদের বিস্তরিত পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
সংঘর্ষের বিষয়ে বিজিবি’র ঠাকুরগাঁও ৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহা. মাসুদ জানান, বিজিবি সদস্যরা কয়েকটি অবৈধ গরু আটক করে নিয়ে আসার সময় বহরমপুর এলাকায় চোরাকারবারিরা ধারালো অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধভাবে বিজিবি’র উপর হামলা চালায়। বাধ্য হয়ে বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়ে। এতে দু’জন নিহত হন। এছাড়া চোরাকারবারিদের হামলায় দুইজন বিজিবি সদস্যও আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, এলাকাবাসী জানান- আজ মঙ্গলবার হাটের দিন হওয়ায় পাশ্ববর্তী রাণীশংকৈল উপজেলার যাদুরাণীহাটে স্থানীয়রা গরু বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন। এসময় রাস্তায় ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি’র বেতনা সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যরা কয়েকটি গরু আটকিয়ে সেগুলো ভারতীয় চোরাই গরু বলে দাবি করে। এনিয়ে বিজিবি সদস্যদের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে গেলে বিজিবির সদস্যরা গুলি চালায়। আধা ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে বিজিবি শতাধিক রাউন্ড এলোপাথারি গুলি চালায়। এতে ৪ জন নিহত ও আহত হয় কমপক্ষে ১৩ জন। গুরুতর আহতদের রংপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/মাহবুব/এনায়েত করিম