উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গত ৩১ মার্চ ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউনিয়নের কান্দাপটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আমছিমুর সেসিপ জাল ভোট দিতে সহায়তা করায় তাকে আটক করা হয়। পরে ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আবুল কালাম।
বন্ধ ঘোষিত ওই ভোট কেন্দ্রে আগামী বুধবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার ও ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শাহিদুজ্জামান। এই কেন্দ্রের ভোটারদের ভোটেই নির্বাচিত হবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। ফলে ধামরাইবাসীর চোখ এখন কান্দাপটলের দিকে।
স্থানীয় ইউপি ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল আলীমসহ একাধিক জনপ্রতিনিধি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, কান্দাপটল কেন্দ্রে ১৮৯১ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ২৯ জন প্রবাসে রয়েছে। এমনকি কয়েকজন মারাও গেছেন। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় চাকরি করেন প্রায় ২৫ জন। এছাড়া সাভারের ডিইপিজেডসহ বিভিন্ন পোশাক কারখানায় আরো প্রায় ১১০ জন চাকরি করেন। এতে হিসেব করলে দেখা যায়, ৪২৫ জন ভোটারের মধ্যে কয়েকজন ভোটার বাদে অন্য ভোটাররা অনুপস্থিত থাকেন এবং ১৭২৭ ভোটের সবাই যদি নৌকা প্রতীকে ভোট দেন এরপরও বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাদ্দেস হোসেন তার বর্তমান প্রাপ্ত ভোটেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
যদি ৮৭ ভাগ ভোটগ্রহণ হয় আর যদি সব ভোট নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমানের পক্ষে পড়ে তাহলে মিজান ভোট পাবেন ১৫৬৯ এবং তিনি নির্বাচিত হবেন। না হলে মোহাদ্দেসই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। ভোটগ্রহণের হার কত শতাংশ হবে তা দেখার অপেক্ষায় আছেন ধামরাইবাসী।
গত ৩১ মার্চ নির্বাচনে সারা উপজেলায় ভোটগ্রহণের হার ছিল ২৫.২৬ ভাগ। জানা গেছে, মোট ১৪৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৭টি কেন্দ্রের ফলাফলে মোহাদ্দেস হোসেন ভোট পেয়েছেন ৪০ হাজার ৫৬৬ ভোট। তার নিকটতম ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান ভোট পেয়েছেন ৩৯,০০১। ১৫৬৫ ভোটে এগিয়ে রয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোহাদ্দেস হোসেন (আনারস প্রতীক)। ধামরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জাতীয় পার্টির দেলোয়ার হোসেন খান মিলন পেয়েছেন ৮৩৪ ভোট ও জাসদের শেখ আনোয়ার হোসেন মুন্নু পেয়েছেন ১২১ ভোট।
ধামরাই সহকারী রিটানিং অফিসার আবুল কালাম আজাদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দিনের বেলার ব্যালটে সিল মারার অভিযোগে রবিবার সকালে একজন প্রিজাইডিং অফিসারকে আটক করা হয়। অনিয়মের কারণে কান্দাপটল এলাকার ভোট বন্ধ করে দেয় কমিশন। এসব অনিয়মের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ কোনও নির্বাচনি কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোটগ্রহণের সময় বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা