সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদের বিরোধী দলীয় হুইপ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মান সরেজমিন ঘুরে দেখার পর কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘হাসপাতালে গরিব মানুষেরা স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসেন। তাদের আর যাওয়া কোন জায়গা নেই। কিন্তু মানুষ কাঙিক্ষত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। সেবার মান নিয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠছে কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে। হাসপাতালে আসার রোগীদের আন্তরিকভাবে সেবা দিন। সেবার মান নিশ্চিত করুন। আজ সরেজমিন সবকিছু দেখে আপনাদের সতর্ক করলাম। যেসব ক্ষেত্রে অসঙ্গতি আছে তা দ্রুত সমাধান করুন। না হয় আগামীতে আপনাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাব’।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপালের স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে সম্প্রতি রোগী ও তাদের স্বজনরা অভিযোগ করে আসছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে সদর হাসপাতলের সেবার পরিস্থিতি সরেজমিন দেখতে গিয়ে হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের সতর্ক করে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদ সদস্যকে পেয়ে হাসপালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা সেবার মান নিয়ে নানা অভিযোগ করেন।
অভিযোগ শোনার পর কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য পীর মিসাবাহ বলেন, ‘হাসপাতালের পেছনে সরকার বছরে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও বাস্তবে এর সুফল পাচ্ছেন না রোগীরা। রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। আপনাদের গাফলতির কিংবা লোভের কারণে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হলে তার হিসেব আপনাদেরকেই দিতে হবে। হাসপাতালে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না।’
পীর মিসবাহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ওষুধের তালিকা প্রকাশ্য স্থানে ঝুলিয়ে রাখা, রোগীদের হাসপাতালের বাইরে থেকে ওষুধ আনতে বাধ্য না করা, ওয়ার্ড অনুযায়ী রোগীদের তালিকা ঝুলিয়ে রাখা, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদেরকে নির্দিষ্ট দিন ও সময় ছাড়া হাসপাতালে প্রবেশ করতে না দেওয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়া, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান চালিয়ে ভুয়া পরীক্ষার-নিরীক্ষার বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে সিভিল সার্জনকেও নির্দেশ দেন তিনি।
হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাশ, হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিনিয়ার কনসালটেন্ট ডা. বিশ্বজিৎ গোলদার, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. জয়ন্ত কুমার দাস, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মল আবিল আইয়াম, হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম, গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. লিপিকা দাস।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার