কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় ৬৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ও হাজারো স্বেচ্ছসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আর এতে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
আবহাওয়া বার্তায় ফণীর প্রভাবে কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূলে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে। তবে ফণীর প্রভাবে সমুদ্রের পানি ঘোলা ও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক করে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোকে বেশি নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, ‘টেকনাফে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোসহ উপকূলীয় কিছু স্কুলও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। তবে জনসচেতনতার জন্য উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।’
মো. রবিউল হাসান বলেন, ‘প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্প নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। এসব স্থানে বেশি সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে।’
উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিপিপি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় বর্তমানে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ শুরু করেছেন। উপকূলে বসবাসরত জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে এবং ৬৫টি সাইক্লোন সেন্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আবহাওয়ার সমুদ্রবন্দরের সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। এর কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ফণী।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম