মানিকগঞ্জের পৌলি এলাকার দয়াল লুৎফর রহমানের উঠানে বৃহস্প্রতিবার রাতে ধুইয়াজারী গানের আসর বসে। একাধিক দল এই গানে অংশ নেয়। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই গানের আসর।
আয়োজক দয়াল লুৎফর রহমান জানান, এক সময় এ অঞ্চলে আমন, আউশ ধান ও পাটের ব্যাপক আবাদ হতো। কৃষকরা জমি পরিচর্যার সময় মন উজার করে এই গান গাইতো। এই গানের কারণে কাজের উৎসাহ বেড়ে যেত কয়েকগুণ।
প্রশিক্ষণ ছাড়া কৃষকদের এই গান সকল শ্রেণীপেশার মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছে। কালের বিবর্ততে এই মায়াবি গান হাড়িয়ে যাচ্ছে মানুষের মন থেকে। আমাদের ঐতিহ্যবাহী গানের মধ্যে ধুইয়াজারী গান অন্যতম।
এই গানকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য আমাদের আয়োজন। আগত গানের শিল্পী ইব্রাহীম বলেন আমরা গান করে নিজে আনন্দ পাই শ্রোতাদের আনন্দ দেই। আমরা জীবনে কোন
দিন গান গেয়ে টাকা পয়সা গ্রহণ করিনি।
জেলার ইব্রাহীম, জোনাব আলী, পাগল কানাই, বদর উদ্দিন, জুলমত আলী, ছায়েদ আলী বয়াতীসহ বেশ কিছু লোক শিল্পী এই সব গান রচনা করে আসর বসাতেন গ্রামে গ্রামে।
গান শুনতে আসা মহিলারা জানান, বাড়ির পাশে জমিতে যখন বসে পরিবারের লোকজন এই গান গাইতো আমরা বাড়িতে বসে কান উচিয়ে গান শুনতাম। গানের তালে কাজ করতে করতে কখন যে সময় পার হয়ে যেত বুঝতেই পারতাম না।
এই গান টিকিয়ে রাখার জন্য সরকার ও বিত্তশালীদের কাছে দাবি জানান ধুইয়াজারী গানের শিল্পীরা।লোক সাহিত্য গবেষক মাশাররফ হোসেন বলেন, ঐতিহ্যবাহী গানের মধ্যে ধুইয়াজারী অন্যতম। এটি রক্ষা করতে সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ