ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কায় আতঙ্কে দিন কাটছে লক্ষ্মীপুর মেঘনা উপকূলের বাসিন্দাদের। জেলার ২১টি ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ও নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের ৫০ হাজার মানুষ বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৬ নম্বর বিপদ সংকেতে এক ধরনের উৎকণ্ঠা বিরাজ করলেও আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে তারা আসতে চাইছে না।
গৃহপালিত পশু, পাখি ও নিজেদের উৎপাদিত খাদ্য, শস্য ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অনেকে যেতে রাজি নন বলে জানা যায়।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংসহ সব ধরনের প্রচারণা চালানো হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সিপিডি ও স্বেচ্ছাসেবী দুই হাজার কর্মী, রামগতি, কমলনগর, সদর ও রায়পুরে ৪০টি ট্রলার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুকনো খাবার, চাল ও নগদ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে।
ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে ১০০০ লোককে নিরাপদে আনতে সক্ষম হয়েছেন বলে মুঠোফোনে জানান জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান।
অনেকে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে চলে গেছে দাবি করে বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে লোকজন আসতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে ফণী’র প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে মেঘনা নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল থেকে দমকা হাওয়া বইছে। সেই সঙ্গে দুই দফা হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। গুমট পরিস্থিতি বিরাজ করলেও কখনো রোদ কখনো বৃষ্টি হতে দেখা গেছে।
এর ফলে নদীর মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলো নিরাপদে আসতে শুরু করেছে। এদিকে ঢাকা চট্টগ্রাম থেকে আসা নারী ও শিশুসহ ভোলা বরিশালগামী অনেকযাত্রী আটকা পড়েছেন মতিরহাট-রামগতিও সদরের মজু চৌধুরীর হাট এলাকায়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন