ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে খুলনায় শুরু হয়েছে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি।
শুক্রবার দুপুরের পর থেকে আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায়। কিছুক্ষণ মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার পর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়।
এদিকে উপকুলীয় এলাকায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনার কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছার মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। উদ্বিগ্ন মানুষ ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে।
খুলনার কয়রা দক্ষিণ বেদকাশী ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন বলেন, বাতাস শুরুর পর থেকে স্বেচ্ছায় মানুষজন আশ্রয় কেন্দ্রে আসা শুরু করেছে। তবে শেষ বিকালেও অনেকে সহায়-সম্বল রক্ষায় বাড়িতে রয়ে গেছেন। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবহাওয়া সতর্ক বার্তা জানিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খুলনার কয়রার কপোতাক্ষ ও সাকবাড়িয়া নদীতে দুপুরের পর ভাটা হলেও পানি কমেনি। বরং স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদীতে পানি বেড়েছে। সন্ধায় ভরা জোয়ারের সময় জোয়ারের পানি বাড়লে বেড়িবাঁধ ধসে প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে জেলার ৩২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় সার্বক্ষনিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এছাড়া নৌকা, ট্রলারসহ ক্ষুদ্র নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সেনা ও নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছে। দুর্যোগের সময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত শুকনা খাবার, ওষুধ ও জীবনরক্ষাকারী উপকরণের মজুদ নিশ্চিত করা হয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, ফণীর অগ্রভাগের প্রভাবে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের থেকে বেড়েছে। এভাবে শুক্রবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড় খুলনা অতিক্রম করা পর্যন্ত বৃষ্টি চলতে থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন