পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তীব্র ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতীষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বৈদ্যুতিক পাখার বাতাসেও যেন মিলছে না স্বস্তি। আর এ গরমের ফলে দিন দিন বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ডায়রিয়াসহ পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত নতুন নতুন রোগী।
এসব রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসকরা। রোগীদের ভীড়ে ৫০ শয্যা হাসপাতালটিতে যেন তিল পরিমাণ ঠাই নেই। অনেক রোগী সিট না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যা হাসপাতালটিতে ৯৬ জন রোগী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে গত তিন দিনে ৪০ জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বেশির ভাগ রোগীই শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ।
রবিবার রাত ১২ টা থেকে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় ১৩ জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গরমের ফলে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এছাড়া রোজাদার ব্যক্তিরা একটু স্বস্তির পরশ পেতে গাছের ছায়া এমনকি নদীর পাড়েও বসে থাকতে দেখা গেছে।
মিজানুর রহমান জানান, ভ্যাপসা গরমে রোজা রাখতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন গ্রামে পানিবাহিত রোগও দেখা দিয়েছে।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত মাহিনুর বেগম জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার মেয়েকে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে আনা হয়। সিট না পেয়ে মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার ফৌজিয়া খানম জানান, ৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিনই শতাধিক রোগী ভর্তি থাকে। এছাড়া আমতলী, তালতলী ও রাঙ্গাবালী উপজেলার রোগীরাও চিকিৎসা সেবা নিতে এ হাসপাতালে আসে। আর এ অতিরিক্তি রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে নিজেরাই রোগী হয়ে যাচ্ছি। ঔষধ সরবারহ থাকলেও সিট সংকটের কারনে অনেক রোগীকেই মেঝেতে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার রেফায়েত হোসাইন জানান, গরমের কারণে পানি বাহিত রোগসহ ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। আমারাও রোগীদের চিকিৎসা ও পরামর্শ দিচ্ছি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন