ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে ভিজিএফের চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার জামালপুর, বেগুনবাড়ি ও নারগুনসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে চাল বিরতণ করা হয়। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মাথাপিছু প্রত্যেক কার্ডধারীকে ১৫ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়েছে ১০-১২ কেজি পর্যন্ত।
এ সময় সদরের জামালপুর ইউনিয়নের কার্ডধারীরা চাল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলে কয়েকজনকে ১৫ কেজি করে চাল পুনরায় ওজন করে দেয় ইউপি চেয়ারম্যান। ওজন না করেই বালতিতে ভরে চাল দিয়েছে সুবিধাভোগীদের। অন্যেদিকে, কার্ডধারীদের অভিযোগ ওজনে কম দিয়ে এসব চাল অন্য জায়গায় বিক্রি করছেন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা। আর কার্ডধারীদের বেশিরভাগ মানুষ জানেন না কতটুকু চাল পাবেন তারা।
জামালপুর ইউনিয়নের কার্ডধারী রাবেয়া বেগম, হজরত আলী, রহিম উদ্দিনসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, চাল দেয়ার কথা কতটুকু তা আমরা জানি না। তবে আসার পর শুনলাম ১৫ কেজি করে দিবে । কিন্তু পাল্লায় ওজন না দিয়ে দিচ্ছে এক বালতি; এতে ১০-১২ কেজি হচ্ছে। বাকি চাল চেয়ারম্যান ও মেম্বার বেচে খাবে। আমরা এর প্রতিবাদ করলে পরে কার্ড দিবে না। তবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক