ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী মহাসড়কে দুর্ঘটনার মরদেহ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রবিবার ভোর রাতে সদর হাসপাতালের সামনে থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত হৃদয় (১৭) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আকচা ইউনিয়নের বানিয়া মন্দিরপাড়া এলাকার সত্যেনের ছেলে বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার চিলারং নেকড়ী হাট এলাকায় বালিয়াডাঙ্গী মহাসড়কে মাইক্রোবাস ও পাওয়ার টিলারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের সহকারী হৃদয় ঘটনাস্থলে নিহত হয়। পুলিশ দুর্ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গেলে মাইক্রোবাস ও পাওয়ার টিলার পড়ে থাকতে দেখে। তবে এ সময় হতাহতদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে দুর্ঘটনায় হতাহতের খুঁজতে পুলিশ ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের গেলেও কোনো ব্যক্তির খোঁজ পায়নি। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ হাসপাতালের বাইরে প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স গুলোতে অভিযান চালালে সুরভী নামে একটি এ্যাম্বুলেন্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ।
দুর্ঘটনার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল পাঁয়তারা করছে বলে উদ্ধারকৃত এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার স্বীকার করেছেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপ-পরিদর্শক আহমদ জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালেও কোনো হতাহতের নাম পাওয়া যায়নি।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স থেকে দুর্ঘটনায় নিহত একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
দুর্ঘটনা ও লাশ আত্মগোপনের কারণ খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন