কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ভাবিকে খুনের দায়ে দেবর আজহারুল ইসলাম ওরফে মিলনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে আসামিকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মিলন পাকুন্দিয়া উপজেলার মধ্যপাড়া (পর্দানীপাড়া) গ্রামের মৃত ছায়ামুদ্দিনের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাকুন্দিয়া উপজেলার ছয়ছির গ্রামের মৃত ফজর আলীর মেয়ে তাছলিমা আক্তারের সাথে ঘটনার ২৬ বছর আগে মধ্যপাড়া গ্রামের ছায়ামুদ্দিনের ছেলে বাবুল মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তাছলিমার দেবর আজহারুল ইসলাম মিলনের সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন আগে মিলনের সাথে তাছলিমার কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে মিলন তাকে খুন করার হুমকি দেয়। ঘটনার দিন অর্থাৎ ২০১৫ সালের ১৫ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাছলিমা নিজ ঘরে সাংসারিক কাজকর্ম করতে থাকা অবস্থায় দেবর মিলন ঘরে ঢুকে তাছলিমাকে গালিগালাজ করতে থাকে। তাছলিমা এর প্রতিবাদ করলে মিলন দা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে মিলন দাসহ পাকুন্দিয়া থানায় আত্মসমর্পণ করে।
এদিকে, তাছলিমাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিনই বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে তাছলিমার ভাই শাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে আজহারুল ইসলাম মিলনকে একমাত্র আসামি করে ওইদিন রাতে পাকুন্দিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম