বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, এসএম কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল জলিল হাওলাদার (৬১) আর নেই। আজ সোমবার বেলা ৯টার দিকে পিরোজপুর জেলখানায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)।
পিরোজপুরে একটি নারী নির্যাতন মামলায় প্রথমে ১৮ বছর ও পরে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন আব্দুল জলিল। ২০১৮ সালের ২রা মার্চ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে পিরোজপুর কারাগারে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা জেল সুপার মো. শামীম ইকবাল বলেন, জলিল হাওলাদার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় যাবতজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। তার হার্টে সমস্যা ছিল। আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসপাতালের আরএমও ডা. ননী গোপাল রায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আব্দুল জলিল ওরফে জলিল ভিপি জেলখানায় সুনামের সাথে শিক্ষকতা করতেন বলেও জেল সুপার মো. শামীম ইকবাল জানান।
আব্দুল জলিল এক সময় মোরেলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৭ সালে ছাত্রলীগের প্যানেলে এসএম কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন। সর্বশেষ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বীর রহিমুল্লাহ্ বংশধর আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা জলিল ভিপি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল হাওলাদারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন, সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হক, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি এইচ.এম বদিউজ্জামান সোহাগ, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক, ছাত্রলীগ সভাপতি ওবায়দুল ইসলাম টিটুসহ অনেকে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম