বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার বিকেলে সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১২৪ সেন্টিমিটারওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের ১২৯টি গ্রামের ১লাখ ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী। পানি কমার ফলে আশা জাগলেও বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নয়ন হয়নি।
বন্যায় ৩১ হাজার ৫৮৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ১৪৫ বসতবাড়ি। আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ির। বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। ৭৯টি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ জলমগ্ন হওয়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর। বন্যায় প্রায় ৯ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে কৃষকের জাগ দেওয়া কয়েক হাজার একর জমির পাট।
দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। বেশ কিছু এলাকায় এখনো সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি।গৃহহীনরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুই পাশ দিয়ে ঝুপড়ি ঘরে বানিয়ে চলেছেন। বাঁশ, কাঠের বাটাম, পলিথিন, দড়ি, লোহা, টিনসহ আনুষাঙ্গিক সামগ্রী ব্যবহার করে রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এসব ঘর তৈরি করছেন বানভাসি মানুষগুলো। ঘরগুলো পরিসরে বেশ ছোট। এক ঘরেই সবাইকে ঠাসাঠাসি করে বসবাস করতে হচ্ছে। আবার কেউ কেউ এসব ঘরেই গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে বসবাস করছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসকের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল জানান, পানি কমায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বানভাসিদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান ত্রাণ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা