নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব আবদুস সামাদ বলেছেন, পায়রা বন্দর দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি বন্দর। চলমান কাজগুলো শেষ হলে আগামী দুই বছরের মধ্যে পায়রা বন্দরের ফাংশোনাল কার্যক্রম শুরু করা যাবে। এটি বাস্তবায়ন করতে বেশ কয়েকটি প্রকল্প কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা ১২টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী স্বরণে গাছের চারা রোপন কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রায় ২০ হাজার গাছের চারা রোপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, এ প্রকল্পের আওতাধীন ক্ষতিগ্রস্থ তিন হাজার ৫০০ পরিবারকে এ টাইপ ও বি টাইপের ভবন তৈরি করে দিচ্ছি। ছয় স্থানে এসব পরিবারের জন্য ভবন তৈরি করার কাজ চলছে। আর একটি কাজ হচ্ছে রামনাবাদ চ্যানেলসহ সমুদ্রের অংশ যেখান থেকে জাহাজ আসবে, সে কাজটা বেলজিয়ামের একটা কম্পানি জাংজিকোকে দিয়েছি। এছাড়া সামনে ট্রান্স শিপমেন্ট টার্মিনাল গুলোও নির্মান করা হবে।
সচিব আরও বলেন, কানেকটিং রোড শেখ হাসিনা সড়ক এবং আন্ধার মানিক নদীর উপর একটি ব্রীজ তৈরি করা হবে। যেটা মেইন টার্মিনাল পর্যন্ত চলে যাবে। এসব কাজ বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতিতে আমদানী রফতানি এবং অন্যান্য নৌ-বানিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে পায়রা বন্দর।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গাছের চারা বিতারন ও রোপন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রানালয়ের অতিরিক্ত সচিব ভোলানাথ, পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান কমডোর এম জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাসসহ পায়রা বন্দরের কর্মকর্তারা। এর আগে তিনি পায়রা বন্দরের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আরপিসিএল প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।
বিডি প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ