বগুড়ায় পৌর এলাকায় এখনও ইটভাটা চলছে। লাইসেন্স বিহীন ইটভাটা অবাধে চললেও প্রশাসন ও পরিবশে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
বগুড়া জেলা ইট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সরকারের সর্বশেষ পরিবেশ আইন অনুযায়ী পরিবেশ রক্ষায় পৌর এলাকার (শহর এলাকা) সীমানার মধ্যে আর কোনো ইট তৈরির কারখানা বা ইটভাটা থাকবে না। এই আইন কার্যকর করতে গত কয়েক মাস আগে জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহমদ এর নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ইটভাটা মালিকরা সুজাবাদ এলাকায় এসএসবি ইটভাটা সহ তিনটি ভাটা অপসারণ করা হয়। এতে ওই সব ভাটা মালিকরা সরকারের আইন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কোটি কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হন।
এরপর রহস্যজনক কারণে আর কোনো ইটভাটা অপসারণ করা হয়নি। বর্তমানে শুধু বগুড়া পৌরসভা এলাকার মধ্যেই এ ধরনের ২৫ টি ইটভাটা রয়েছে। ভাটা মালিকদের করা উচ্চ আদালতে রিট বিচারাধীন রয়েছে এমন দোহাই দিয়ে প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে ম্যানেজ করে আগামী ইট তৈরির মৌসুমে আবারও এসব ভাটায় ইট প্রস্তুতের কাজ চলছে।
বগুড়া পৌর এলাকার মাদলা হেলেন্চাপাড়ার এসএনবি ইটভাটার ম্যানেজার নাজমুল হাসান শুভ বলেন, আদালতে মামলা রয়েছে, তাই আগামী মৌসুমে ইট তৈরির প্রস্তুতি চলছে। অনুমতি না পেলে ভাটা বন্ধ করা হবে।
জেলা ইট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান বাদল জানান, জেলায় যেসব ইটভাটা পৌর এলাকার মধ্যে রযেছে তাদের সরিয়ে নিতে বলা হলেও তারা সেটি করছে না।
পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়, বগুড়ার পরিদর্শক মকবুল হোসেন জানান, পৌর সভা এলাকার ইটভাটা নিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে শুনানি হলেও কোনো আদেশ হয়নি। সেখানকার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, জনবল সঙ্কটের কারণে বিভাগের সর্বত্র দেখা শোনা করা সম্ভব হচ্ছে না। বগুড়া পৌর এলাকায় ২৫টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন