পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজীর বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবির পৃষ্ঠপোষকতা ও টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ উঠেছে। জিয়াউল আহসান গাজী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে থেকে জেলার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি যুবলীগের বিভিন্ন পদে বসিয়েছেন জামাত-শিবিরের নেতাদের। ক্ষমতাসীনদলের এ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন জেলা যুবলীগের সিনিয়ার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান।
পিরোজপুর প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, যুবলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যুবলীগের পদধারী কেউ আওয়ামী লীগ বা অন্য কোন সংগঠনের পদ পেলে তার যুবলীগের পদ বাতিল হয়ে যায়। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন বর্তমান কমিটিতে। ফলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের যুবলীগে পদ নাই। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এ পদ ব্যবহার করে বিগত দিনে জেলার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে।
এছাড়া তিনি জেলার বিভন্ন স্থানের জামায়াত শিবিরের লোকদের পৃষ্ঠপোষকতা দেন। ইন্দুরকানী উপজেলায় চিহিৃত এক শিবির নেতাকে তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন।
জিয়াউল আহসান আরো অভিযোগ করেন, একই সংগঠনের লোক হবার পরেও জিয়া গাজী প্রতিহিংসার কারণে তার নামে থানায় জিডি করেছেন।
এ সব অভিযোগের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী জানান, টেন্ডার নিয়ে অভিযোগ সত্য নয়। আর ইন্দুরকানীতে শিবিরের কেউ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছে কিনা জানা নেই। ওটা থানা যুবলীগের বিষয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার