চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকাগামী লঞ্চের কেবিনে ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রেখে পালাক্রমে তরুণী ধর্ষণের দায়ে নজরুল ইসলাম এবং সাকিল আহমেদ ওরফে হাতকাটা শাকিল নামে দুই বন্ধুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া একই মামলায় পৃথক ধারায় ওই দুইজনসহ ৩ জনকে ১৪ বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের দণ্ডাদেশ দিয়েছেন বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ মঙ্গলবার বিকেলে আসামিদের অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় প্রধান দণ্ডপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম নগরীর চরের বাড়ির বাসিন্দা মোসলেম খানের ছেলে, সাকিল আহেমদ একই এলাকার আব্দুর রশিদ হাওলাদারের ছেলে এবং অপর আসামি নাছিমা বেগম নাসরিন দণ্ডপ্রাপ্ত নজরুলের স্ত্রী। নজরুল ও সাকিল পরস্পরের বন্ধু।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ২০০৩ সালের ৯ জুন ওই তরুণীকে বরিশাল থেকে লঞ্চযোগে ঢাকায় নিয়ে যায় আসামিরা। এ সময় লঞ্চের কেবিনে আসামি নজরুল ও সাকিল ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রেখেও ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে তারা। এই কাজে তাদের সহযোগীতা করে নজরুলের স্ত্রী নাছিমা বেগম নাসরিন।
এ ঘটনায় ওই বছরের ২০ জুন ৩ জনকে আসামি করে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতা তরুণীর মা। একই বছর ২৯ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মাহিয়া খানম ওই ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরে ট্রাইব্যুনালে ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক ওই রায় দেন।
বেঞ্চ সহকারী আরো জানান, নজরুল ও সাকিল আত্মসমর্পণ করলে পৃথক ধারায় দেয়া দণ্ড একই সাথে কার্যকর হবে। সে ক্ষেত্রে তারা দুইজন যাবজ্জীবন কারা ভোগ করলেই তাদের দুটি ধারায় দণ্ড কার্যকর হবে। অপর আসামির ১৪ বছর সাজা ভোগ করতে হবে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল