বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রতনপুর গ্রামে মায়ের অবৈধ সম্পর্ক দেখে ফেলায় ছেলে রনিকে (১১) শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার অভিযোগে ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির সিকদারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে বরিশালের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পিপি লস্কর নুরুল হকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক কেএম শহীদ আহম্মেদ আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত তাকে নিরাপদ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। হুমায়ুন ওই উপজেলার বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং মৃত মোবারক আলী সিকদারের ছেলে।
স্পেশাল পিপি লস্কর নুরুল হক জানান, ২০১৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী কাজীরহাট থানা এলাকার আব্দুল লকিতুল্লাহ দুয়ারীর স্ত্রী কণা বেগমের সাথে তার চাচাতো ভাই শাহিন নলীর অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক দেখে ফেললে তারা কনার ছেলে রনিকে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে কনা তার ছেলে রনিকে গলায় সাপে কেটে মেরে ফেলেছে বলে প্রচার চালায়। এ ঘটনায় একই দিন কাজীরহাট থানায় নিহতের বাবা আব্দুল লকিতুল্লাহ তার স্ত্রী কণা, শাহিন নলী ও রুহুল আমিন নলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
একই বছর ১৯ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই নজরুল ইসলাম মৃধা ওই ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলাটি বিচারের জন্য জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার মামলার সাক্ষ্য গ্রহনকালে ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির সিকদার শপথ পাঠ করে মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের দৃষ্টিতে আনেন স্পেশাল পিপি। একই সাথে তিনি ইউপি সদস্যকে হেফাজতে রাখার আবেদন করেন।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাৎক্ষনিক ইউপি সদস্য হুমায়ুনকে পরবর্তীতে সঠিক সাক্ষ্য প্রদানের ধার্য্য তারিখ ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত কারাগারের নিরাপদ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ