সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নতুন আহ্বায়ক কমিটির মিটিংকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও দলীয় নেতারা জানান, ২০ সেপ্টেম্বর তাড়াশ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে তাড়াশে বিএনপির দলীয় নেতা-কর্মীরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। আহ্বায়ক কমিটির পক্ষে অবস্থান নেন সাবেক সম্পাদক সরদার আফসার আলীর গ্রুপ আর বিপক্ষে অবস্থান নেয় সাবেক সভাপতি খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর গ্রুপ। এ অবস্থায় মঙ্গলবার আহ্বায়ক কমিটির প্রথম মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়।
মিটিংয়ে জেলা বিএনপি নেতারা তাড়াশে পৌঁছলে সেলিম জাহাঙ্গীর গ্রুপ নেতাদের গাড়িতে হামলা চালিয়ে নেতাদের মারপিট ও গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ নিয়ে দুপক্ষে সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। পরে নেতারা উপজেলার মহুরী অফিসে মিটিংয়ে আয়োজন করলে সেখানে সেলিম জাহাঙ্গীরের ভাই সাইফুলের নেতৃত্বে আবারও হামলা চালালে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ বধে যায়। এতে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুন্সি জাহিদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ সুইট, তাড়াশ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব সাঈদুর রহমান ও সদস্য জিয়া রহমানসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আহত জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মুন্সী আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট জানান, আমরা গাড়ি নিয়ে পৌঁছামাত্র সেলিম জাহাঙ্গীরের ভাইয়ের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু জানান, যারা নেতৃবৃন্দের উপর হামলা চালিয়েছে তারা বিএনপির নেতাকর্মী হতে পারে না। তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ঘটলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম