বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার খেংসর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন কামাল সরদার নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেছেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার খেংসর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, খেংসর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪৬ শতক জায়গা রয়েছে। সে জায়গায় ১৪ শতক নিজের সম্পত্তি বলে দাবি করেন কামাল সরদার। এই জায়গা নিয়ে দুই বছর ধরে মামলা চলছে। সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক ল্যাইবেরি কক্ষে টানানো দাতা সদস্যদের বোর্ড নামিয়ে ফেলেন। সেই বোর্ডে দাতা সদস্য হিসেবে কামাল সরদারের বাবা মরহুম তমেজ উদ্দিনের নাম ছিল।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কামাল সরদার স্কুলের লাইব্রেরি কক্ষে দাতা সদস্যদের নামের তালিকা বোর্ড নিচে নামানো দেখে প্রধান শিক্ষককে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। একইসঙ্গে প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়। তাৎক্ষণিক এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী বলেন, স্কুলের বোর্ডে দাতা সদস্যদের নাম সংশোধন করার জন্য নিচে নামানো হয়েছে। এ জন্য কামাল সরদার আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।
এ বিষয়ে কামাল সরদার বলেন, প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা হয়নি। তবে দাতা সদস্যদের নামের তালিকা বোর্ড নিচে নামানো নিয়ে তার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়েছে।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিরাজুন নেছা বলেন, প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতের ঘটনাটি শুনেছি। ট্রেনিংয়ে থাকায় বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম