১৬ নভেম্বর, ২০১৯ ২০:২৬

ভাঙ্গায় মাদ্রাসা ছাত্রী অপহরণ, খালা-খালাতো ভাইসহ আটক ৩

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ভাঙ্গায় মাদ্রাসা ছাত্রী অপহরণ, খালা-খালাতো ভাইসহ আটক ৩

প্রতীকী ছবি

৭ লাখ টাকা মুক্তিপণের জন্য খালা অপহরণ করল আপন ভাগ্নি মাদ্রাসার ছাত্রী ফারজানা (৭)-কে। সে ভাঙ্গা পৌরসভার দাড়িয়ারমাঠ মহল্লার ‘কোরআনের আলো মহিলা মাদ্রাসা’র মক্তব বিভাগের ছাত্রী। 

গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে মাদ্রাসা এলাকা থেকে অপহরণের তিনদিন পর আজ শনিবার জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলা থেকে মাদ্রাসা ছাত্রী ফারজানাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। 

এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মাদ্রাসার ছাত্রীর আপন খালা ভাঙ্গা পৌরসভার চন্ডিদাসদি মহল্লার বেদানা বেগম (৪৫), তার ছেলে হৃদয় মোল্লা (১৮) ও ভাঙ্গা পৌরসভার কাপুড়িয়া সদরদী মহল্লার ইমন মুন্সী (১৮)-কে আটক করেছে ভাঙ্গা থানার পুলিশ। 

পুলিশ ও মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকালে কোরআনের আলো মহিলা মাদ্রাসা থেকে কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ফারজানাকে তার খালাতো ভাই হৃদয় কৌশলে মুক্তিপণের জন্য জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী নিয়ে আটকে রাখে। এরপর চক্রটি ফারজানার মাকে মোবাইলে ফোনে কল করে ৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মোবাইল কলের সূত্র ধরে ভাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অবশেষে সরিষাবাড়ী এলাকা থেকে ফারজানাকে উদ্ধার করেন। এসময় খালা ও খালাতো ভাই হৃদয় ও প্রতিবেশী ইমনকে আটক করে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফারজানার মা কুলসুম বেগম সৌদী আরবে চাকরী করেন। ফারজানার বাবার সাথে কয়েক বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ায় বিদেশে যাওয়ার সময়ে তার বড় বোন বেদানার নিকট ফারজানাকে রেখে যায়। বেদানা তার ভাগ্নিকে মাদ্রাসায় ভর্তি করান। দেড় মাস যাবৎ কুলসুম বেগম সৌদি থেকে বাংলাদেশে এসে দ্বিতীয় স্বামী নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। বোন সৌদি থেকে অনেক টাকা আয় করে এনেছে এ খবর শুনে বড় বোন ও তার ছেলে অপহরণের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

এ বিষয় উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্বে থাকা ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক নিখিল অধিকারী জানান, অপহৃত ফারজানাকে আমরা জামালপুরের সরিষাবাড়ী থেকে উদ্ধার করেছি।  অপহরণ চক্রের সাথে জড়িত তিন জনকে আটক করেছি। আমরা ভাঙ্গা ফিরে এসেই এ ব্যপারে মামলার কার্যক্রম শুরু করব। 

 

বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর