কুমিল্লায় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সভায় বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে দফায়-দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে সংঘর্ষ শুরু হয়ে তা পরবর্তীতে কুমিল্লা সার্কিট হাউজ পর্যন্ত গড়ায়। এ ঘটনায় সাবেক এমপি আমির হোসেনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। 

সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা, কুমিল্লা উত্তর জেলা ও মহানগরের সাংগঠনিক সভা চলছিল। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি।

সভা শেষ করে কেন্দ্রীয় নেতারা কুমিল্লা সার্কিট হাউজে আসে। সার্কিট হাউজে পুনরায় আমির হোসেন ও মাখন সরকারের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এসময় আমির হোসেন ও মাখন সরকার আহত হয়। পুলিশ এসময় মাখন সকারকে আটক করে। সবকটি ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। 

এ বিষয়ে উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি লুৎফুর রেজা খোকন জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মীমাংসা করে দিয়েছে।  

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল হক জানান, টাউন হল ও সার্কিট হাউজের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছিল। এ বিষয়ে কারো কোন অভিযোগ না থাকায় পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

এদিকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি আগামী দিনে সকল ভেদাভেদ ভুলে নেতাকর্মীদের একযোগে দলের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতী, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বিরোধী দলীয় হুইপ অধ্যাপক রওশন আরা মান্নান এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মিলন, কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার আহমেদ সেলিম, দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কবির মোহন, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক মাহাবুবুর আলম সেলিমসহ কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার