পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ধর্মঘটে দেশের স্থল ও নৌ বন্দরগুলোতে অচলাবস্থার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাস চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের প্রতিবাদে যশোর থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয় রবিবার সকাল ১১টা থেকে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়। এখন সারাদেশে চলছে ধর্মঘট।
বেনাপোল স্থলবন্দর ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় বেনাপোল বন্দরে কোনও মালামাল লোড-আনলোড ও খালাস হয়নি। এতে পণ্য লোড করার জন্য বন্দরের সামনে শত শত খালি ট্রাক অবস্থান করছে। দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যসহ পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকলেও ভারত থেকে আমদানি পণ্য বন্দরে আনলোড করা সম্ভব হয়নি।
বেনাপোর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী জানান, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ধর্মঘটের কারণে বেনাপোল বন্দরে পণ্যপরিবহনের জন্য ট্রাক ও ক্যাভার্ডভ্যানের ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের সহকারি কমিশনার উত্তম চাকমা বলেন, গত সাতদিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২ হাজার ৮শ ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। একই সময়ে বেনাপোল বন্দর থেকে ৩ হাজার ৩শ ট্রাক আমদানীকৃত পণ্য খালাশ হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা ছিলো ৯০ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬২ কোটি টাকা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন