তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাই রবিউল ইসলামকে ছুরিকাঘাতে জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কনেস্টবলের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার বিকালে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বালিয়াডাঙ্গীর থানায় আহত রবিউল ইসলামের মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
আহত রবিউল ইসলামের মা জানান, মুক্তিযোদ্ধা স্বামী নাজিম উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী তিনি। মুক্তিযোদ্ধা স্বামীর প্রথম স্ত্রী মনোয়ারার ছেলে অভিযুক্ত পুলিশ কনেস্টবল মামুন বাদশা। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) মনোয়ারা তার পুলিশ ছেলেকে সাথে নিয়ে আমার ছেলে রবিউলের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে রবিউল ইসলামকে পেটে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে।
তিনি আরও জানান, রবিউল মুঠোফোন কেনার জন্য তার বাবার নিকট পাঁচশত টাকা নেন। কিছুক্ষণ পরে তার সৎ ভাই মামুন বাদশা রবিউলের কাছে ওই টাকা ফেরৎ চান। আহত রবিউল বাবার টাকা ফেরৎ দিতে গেলে শুরু হয় মারধর। পরবর্তীতে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে রবিউলকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মামুন বাদশার মা মনোয়ারা বেগমকে আটক করে। তবে পালিয়ে যান মামুন বাদশা।
বালিয়াডাঙ্গী থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান হেলাল বলেন, ঘটনার এজাহারভুক্ত আসামি একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অপর আসামিকে গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম