নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নে ইউপি সদস্যকে চাঁদা না দেওয়ায় দোকান নির্মাণে বাধা ও শফিকুল ইসলাম মাসুম (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পরে সেই মারধরের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যদের নাম মামুন মিয়া (৩৭)। তিনি চিনিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।
এ ঘটনায় বাদী হয়ে শফিকুল পাঁচজনের নাম উল্লেখপূর্বক এবং আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শফিকুল একই ইউনিয়নের গাবতলী মাদ্রাসার সামনে নিজের জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করছিলেন। এ সময় ইউপি মেম্বর মামুন মিয়া (৩৭) ও তার সহযোগীরা শফিকুলকে দোকান নির্মাণে বাধা দেয়। তারা এর আগে দাবি করা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা পরিশোধের দাবি জানায়। মাসুম চাঁদা দিতে রাজি না হলে তারা লাঠিসোটা দিয়ে তাকে মারপিট করে আহত করে। এ সময় মাসুমের স্ত্রীর বড় ভাই সাজেদুল আরেফিন ওরফে কাবির (৪২) তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়।
আরও অভিযোগ করা হয়, এ সময় হামলাকারীরা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়াসহ নির্মাণাধীন দেয়াল ভেঙে ১ লাখ টাকার ক্ষতি করে। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে চলে যায়।
শফিকুল ইসলাম মাসুম জানান, মামলা দায়ের করার পর প্রধান আসামি ইউপি সদস্য মামুন মিয়া প্রভাব বিস্তার করে গ্রেফতার না হয়েই আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে হয়ে গেছে। জামিনে মুক্তি পেয়ে উল্টো আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চিনিশপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বর মামুন মিয়া গণমাধ্যমকে চরথাপ্পড় মারার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমার ছবি দিয়ে আমার বিরুদ্ধে যা খুশি লেখেন। আমাকে কিছু করতে পারবেন না। বরং এতে আমার প্রচার হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব