অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. মনোয়ার আহমেদ বলেছেন, অবশ্যই টেকসই উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে। এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প ফেলে রেখে দিলে হবে না। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ৩৪ ভাগ বৈদেশিক সহায়তা থেকে আসে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সঠিক সময় শেষ না হলে তার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। তাই নির্ধারিত সময় উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ করে উন্নয়নের পথে সব বাধা দূর করতেই হবে।
শুক্রবার সকালে নগরীর সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে ‘উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে করণীয় শীর্ষক কর্মশালায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী কর্মশালায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব আরও বলেন, কোয়ালিটিকে সামনে রেখে এগোতে হবে। একই সঙ্গে বিকল্প উন্নয়ন কৌশল তৈরি করতে হবে। দুর্নীতির ক্ষেতে শূন্য সহনশীল নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই আইন বাস্তবায়নে কাজ শুরু করতে হবে নিজের ঘর থেকে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী দলের নেতাকর্মীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আগামীতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হবে। তার আগেই নিজেরাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে চাই। দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ে তুলতে পারলে আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর দেশ রেখে যেতে পারবো।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগীর কমিশনার মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মো. রেজাউল বাশার সিদ্দিক ও মো. আনোয়ার হোসাইন প্রমূখ।
কর্মশালায় বরিশালের বিভিন্ন সকরারী ও বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে টেকসই উন্নয়নে করণীয় এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে স্থানীয় প্রবৃদ্ধি এবং বিকাশের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এমন সম্ভাব্য ক্ষেত্র সমূহ চিহ্নিত করা হয়। আঞ্চলিক উন্নয়নে প্রধান প্রতিবন্ধকতাগুলো বের করে করণীয় ঠিক করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মতামতের ভিত্তিতে আঞ্চলিক প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল গড়ে তোলা, শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা, মৎস্য উন্নয়ন, আঞ্চলিক কৃষি জোন গড়ে তোলা, মৃৎশিল্প, চিংড়ি শিল্প সহ গ্রামের মানুষের কাছে সব ধরণের নাগরিক সুবিধা পৌছে দেয়ার সুপারিশ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন