রাজধানীর পাশে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আগামী ১০ জানুয়ারি শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আম-বয়ানের মধ্যমে শুরু হবে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এটি শেষ হবে ১২ জানুয়ারি। চার দিন বিরতির পর দ্বিতীয় পর্ব ১৭ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় পর্ব।
ইজতেমা উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মুসল্লিরা স্বেচ্ছা শ্রমে চালিয়ে যাচ্ছে ময়দানের সকল কাজ। মুসল্লিরা ময়দানে মাটিকাটা,ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার, খুঁটি গাঁথা,সামিয়ানা তৈরী, চট বাধাই, বয়ান মঞ্চ, বিদেশীদের কামরা নির্মাণ, ছাতা মাইক স্থাপন, বিদুৎ লাইন সংযোগসহ বিভিন্ন কাজ করছে।
গতবারের ন্যায় এবারও প্রথম পর্বে মাওলানা জোবায়ের পন্থী মুসল্লিরা টঙ্গী ময়দানে ইজতেমার আয়োজন করবে। এরপর মাঝে চারদিন বিরতি দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সা’দ অনুসারীরা ইজতেমা আয়োজন করবে। আগত সব জেলার মুসল্লিরা ৮৪ খিত্তায় অবস্থান করবেন। মুসল্লিদের নিরাপত্তায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা আমিন বাজার এলাকা থেকে আসা জামিয়া ইসলামীয়া আলিমউদ্দিন মাদ্রাসার কিতাব খানার এক ছাত্র আরাফাত হোসেন বলেন, ইজতেমা ময়দানে আল্লাহর ইবাদত পালনের উদ্দেশ্যে লাখ লাখ মুসল্লি এখানে সমবেত হয়। সেই মুসল্লিদের খেদমতের তাদের থাকার সুব্যবস্থা করার জন্য আমরা স্বেচ্ছায় কাজ করে যাচ্ছি। এতে আল্লাহ তায়ালা খুশি হলে কাল কিয়ামতের মাঠে এর উছিলায় নাযাতের ব্যবস্থাও হয়ে যেতে পারে, যেকারনেই আমরা দল বেধে এখানে কাজ করছি।
ময়দানের মুরব্বি মাওলানা জোবায়ের অনুসারী ময়দানের মুরব্বি ডা: কাজী সাহাবুদ্দিন বলেন, ইজতেমার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে,ততই কাজের গতি বাড়ছে। ইনশাল্লাহ ১০ তারিখের পূর্বেই সকল প্রস্তুতি শেষ হবে।
এ ব্যাপারে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসের বলেন,গতবারে ন্যায় এবারও ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সেবা নিশ্চিত করতে এবয় ইজতেমা সফল করতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ