জায়গা নিয়ে বিরোধেরে জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য আনোয়ারা বেগমকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আনোয়ারার ছেলে জনি খন্দকার ও নাদিম খন্দকারও আহত হয়েছেন। আনোয়ারা বেগম ও নাদিম খন্দকারকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার নাম মহসিন খন্দকার। তিনি সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য।
আহত আনোয়ারার ছেলে জনি খন্দকার জানান, তাদের পৈত্রিক সম্পতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাচা কালু খন্দকার ও আরেক চাচা লালু খন্দকারের ছেলে মহসিন খন্দকারের মধ্যে বিরোধ চলছে। কালু খন্দকার ও মহসিন খন্দকার তাদেরকে জায়গা লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু রাজি না হওয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মহসিন খন্দকারে নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় তার মা আনোয়ারা, ভাই জনি এবং নদিম আহত হন। আনোয়ার বেগম ও নাদিম খন্দকার জেলা সদর হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেত্রী আনোয়ারা বেগম জানান, মহসিন খন্দকারের নেতৃত্বে আমি ও আমার ছেলেদের উপর বর্বর হামলা চালানো হয়। আমার সারা শরীরে আঘাত করেছে। আমার বড় ছেলে নাদিমের মাথায় সেলাই দিতে হয়েছে। ছোটছেলে জনিকেও মারধোর করা হয়েছে।
তবে যুবলীগ নেতা মহসিন খন্দকার হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আনোয়ারার স্বামী আমার চাচা শিশু খন্দকার মৃত্যুর আগে তার ছোট ভাই কালু খন্দকারে কাছে জায়গা বিক্রি করে যান। আমরা আনোয়ারাকে বলেছি যেহেতু জায়গা বিক্রি করে গেছে তাই জায়গাটি দলিল করে দেয়ার জন্য। এ নিয়ে শুক্রবার আনোয়ারার বাড়িতে শালিস বৈঠক হয়। বৈঠকে জায়গাটি দলিল করে দেওয়ার রায় হয়। কিন্তু রায় না মেনে আনোয়ারার দুই ছেলে চেয়ার ঢিল মেরে ফেলে দেন। পরে হাতাহাতি হলে ফেরাতে গিয়ে আমিও ব্যাথা পাই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, দুইপক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে মারামারি হয়েছে। দু’পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ