টেকনাফে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা কারবারী ও হোয়াইক্যং ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে টেকনাফ থানার পুলিশ। সে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৮ নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য এবং মহেশখালীপাড়ার বাসিন্দা মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা কারবারী হিসেবে তার নাম ৬১ নম্বরে রয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে ২০ হাজার ইয়াবা ও পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলে আদায় করা দুই লাখ ৪০ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল তিনটায় হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মহেষখালীয়াপাড়া তার বসত বাড়ি থেকে ২০ হাজার ইয়াবা ও নগদ ২ লাখ ৪০ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, হোয়াইক্যং ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেনের বাড়িতে ইয়াবার একটি চালান মজুদ করা হয়েছে। তারই সূত্র ধরে, পুলিশের একটি দল অভিযানে যায়। এসময় বসত-বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২০ হাজার ইয়াবা ও ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ওই সময় বাড়ির গৃহকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। বিকেল পাঁচটার দিকে টেকনাফ বাস স্টেশন এলাকা থেকে জাহিদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর পূবশক্রতার জের ধরে স্থানীয় বাসিন্দা মনছুর আলম নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার উদ্দ্যেশে দা দিয়ে কোপালে সে মারাত্মক আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সে মারা যায়। পরে এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় আসামি না করার কথা বলে জাহিদ হোসেন সিরাজুল মোস্তফা নামে এক ব্যক্তিকে এক হত্যা মামলার আসামি করার হুমকি দিয়ে পুলিশের নামে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে হত্যা মামলায় আসামি করা হবে। এরপর সিরাজুল মামলা রেহাই পেতে পুলিশের জন্য ৪০ হাজার টাকা দেন জাহেদ মেম্বারকে। এরপর তার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে জেনে সিরাজুল মোস্তফা নিজে বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় জাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সিরাজুল মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, শুধু আমি নয় অনেকের কাছ থেকে এই হত্যা মামলায় আসামি করার হুমকি দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় দশ লাখ হাতিয়ে নিয়েছেন।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইয়াবা ও পুলিশের নাম ভাঙিয়ে টাকা আদায়ের মামলা করা হয়েছে। তাকে কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা