নাটোরের লালপুর উপজেলার এবি ইউনিয়ানে ব্রাহ্মণপারা গ্রামের ফারুক হোসেনের বাড়িতে একই সঙ্গে ২০টি মৌমাছির চাকে বাসা বেঁধেছে। গত ২০ বছর ধরে শীতকালে তার বাড়ির দেওয়ালে চারপাশে মৌমাছি চাক বাঁধে বলে জানা গেছে।
আজ রবিবার সরেজমিন দেখা যায়, ব্রাহ্মণপারা গ্রামে ফারুক হোসেনের বিল্ডিং'র চারিদিকে একে একে ২০টি চাকে মৌমাছি বাসা বেঁধেছে। সকাল-সন্ধ্যা হাজার হাজার মৌমাছির গুঞ্জরনে এ বাড়িসহ সারা এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে।
ফারুক হোসেন জানান, আমার বাড়িতে এত মৌচাক আর মৌমাছির মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে এবং পিওর মধু কেনার জন্য বিভিন্নস্থান থেকে প্রতিনিয়তই অজস্র মানুষ এখানে ভিড় করেন।
তিনি আরও জানান, গত ২০ বছর ধরে প্রতি বছর মৌমাছি তার বাড়িতে শীতের শুরুর দিকে এসে বাসা বাধে এবং গরম পড়তেই সাথে সাথেই চলে যায়। এসব মৌচাক থেকে প্রতিবছর গড়ে তিন থেকে চার মণ মধু আহরণ করা যায়। এ মধুর চাহিদাও ব্যাপক। প্রতি কেজি মধু ৬০০-৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। প্রতিবছর এ মধু বিক্রি করে ৫০-৬০ হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়।
এসব মৌমাছি সব সময় উড়ে বেড়ালেও কারও গায়ে হুল ফোটায় না, এসব মৌমাছি কখনও আক্রমণ করে না বলে জানান ফারুক হোসেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ