হাসপাতাল থেকে প্রকৃত চিকিৎসা না পেয়ে ঢাকা নেওয়ার পথে রোগী মারা যাওয়ায় হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষ দাবি করেন তারা রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর পৌনে একটার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত মো: মোবারক হোসেন (৩০) গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বড়নগর গ্রামের মো. মোজাম্মেল হকের ছেলে।
এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে হাসপাতালে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে হাসপাতালের সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে তাদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুশফিক-উস সালেহীন জানান, সকালে বুকে ব্যথা নিয়ে ওই রোগী হাসপাতালে আসলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। স্পেশাল কার্ডিওলজিকে দেখানোর পরামর্শ দিয়ে ওই রোগীকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বেলা পৌনে ১টার দিকে রোগীর স্বজনরা কেউ কিছু না বলে হাসপাতালের ভেতর ঢুকে ভাঙচুর চালায়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম মিজানুল হক জানান, ঘটনার পর হাসপাতালে গিয়ে তথ্য উপাত্ত নেয়া হয়েছে। কারা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে তাদের শনাক্ত করার জন্য সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শিবলী সাদিক বলেন, হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। ভাঙচুর চালিয়ে যারা সরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনা তদন্তের জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে তাদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. ছাদেকুর রহমান আকন্দ বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল