সীমান্ত এলাকা কলমাকান্দায় ভাসান খালের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোটি যেন শিশুদের কাছে পাহাড়ের মতোই।
প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পানিতে পড়ে যাওয়ার ভয় নিয়েই স্কুলে যেতে হয় কোমলমতি শিশুদের।
ভয়ঙ্কর বিপদ জেনেও এভাবেই খাল পাড়ি দেয় তারা। এতে করে নানা দুর্ঘটনার শিকারও হয় অনেক শিক্ষার্থী।
শুধু কোমলমতি শিশুরাই নয়, খালে পড়ার শঙ্কা নিয়ে এলাকাবাসীও এভাবেই চলাচল করে রোজ।
এমন চিত্র চোখে পড়বে জেলার সীমান্ত উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের শ্রীপুর-কাইতাপুর চৌরাস্তা মোড় থেকে ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে গোবিন্দপুর বাজার পর্যন্ত গেলেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা খারনৈ ইউনিয়নের ভাসান খালের ওপর একটি ব্রিজের অভাবে বিশ্বনাথপুর, কায়তাপুর, শ্রীপুর, সেনপাড়া, বিলপাড়সহ ১০-১২টি গ্রামের লোকজন বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে।
এ সাঁকোতে প্রতিদিন সব বয়সের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ১০ হাজার লোকজন চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছে।
স্থানীয়রা জানায়, উন্নয়নের ছোঁয়া বঞ্চিত জীবন ধারায় পিছিয়ে থাকা গ্রামের মানুষদের বাঁশে ঝুলে নদী পার হওয়ার দুর্ভোগের যেন কোনও অন্ত নেই।
বাড়িঘর, হাটবাজার, কর্মস্থল ও ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে প্রত্যেককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খালটি পার হতে হয়।
শিক্ষার্থীরা বাঁশের ওই সাঁকো দিয়ে স্কুল-কলেজে যাতায়াতকালে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। আর এলাকার অসুস্থ লোকজন ওই ভাঙা সাঁকোতে ওঠে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
এ ব্যাপারে খারনৈ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বলেন, প্রাই দুই বছর আগে ওই খালের ওপর ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছিল। এখন ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দ না থাকায় তা নতুন করে তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলা পরিষদ যদি বরাদ্দ দেয় তা হলে দ্রুতততম সময়ের মধ্যেই নতুন করে আরেকটি বাঁশের সাঁকোর ব্যবস্থা করা হবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। গ্রামবাসীর এ দুর্ভোগে আমি নিজেও লজ্জিত।
বিডি প্রতিদিন/কালাম