লক্ষ্মীপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ মেয়েকে খুন করলেন ফয়েজ আহমদ মনু নামের এক ফল ব্যবসায়ী। দেড় বছর বয়সী ওই শিশু ফারহানা আক্তার রাহিমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন ঘাতক বাবা।
মঙ্গলবার (১২ মে) দুপুরে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ বিষয়টি জানান। এর আগে ওই ঘাতককে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, গত ৮ মে স্থানীয় চন্দ্রগঞ্জের পূর্ব রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মনু থানায় এসে তার মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে মর্মে একটি ডায়েরি করেন। পুলিশ তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে নজরদারিতে রাখে। পরে ৯ মে তার দেয়া তথ্যমতে বাড়ির একটি সেফটিক ট্যাংক থেকে শিশুটির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি প্রেরণ করা হয় সদর হাসপাতালে। এরপর শিশুর মা রাশেদা আক্তার অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় হত্যা ও লাশ গুমের মামলা করেন। পুলিশ সন্দেহজনকভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শিশুর বাবা মনু নিজেই তার মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন মনু।
আদালতে তার দেয়া জমানবন্দীতে জানান, পাশের বাড়ির মতিনদের সাথে জমি পরিমাপ এবং বিদ্যুতের লাইন টানা নিয়ে তার সাথে পূর্ব বিরোধ চলছিল। তাদেরকে হত্যা মামলায় ফাঁসাতেই নিজের শিশুকন্যাকে হত্যার একক পরিকল্পনা নেয় মনু। গত ৫ মে তারিখ মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতে খেলাধূলা করছিল শিশু রাহিমা। এসময় সবার অজান্তে রাহিমাকে কোলে তুলে বাড়ির অদূরে নির্জন ঝোঁপের কাছে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সেখানেই লুকিয়ে রাখে। এরপর বাড়িতে এসে তার মেয়ে হারিয়ে গেছে বলে প্রচার করে বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করে রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মেয়ে নিখোঁজের ডায়রি করেন তিনি। পরে শুক্রবার মধ্যরাতে শিশুর লাশ ওই ঝোঁপ থেকে নিয়ে নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় মনু।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার