ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে মির্জাপুরের গোড়াই পর্যন্ত যেন ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্য। করোনার মহামারি শুরুর প্রথম থেকেই তিনটি গ্রুপের ভয়ংকর ছিনতাইকারী সদস্যরা মাথা চড়া দিয়ে উঠেছে। করোনার পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ যখন হিমশিম খাচ্ছিলো, তখন ছিনতাইকারী প্রায় ১৫-২০ জনের সদস্য নিরাপদে ছিনতাই করে পার পেয়ে যাচ্ছিল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কয়েকটি নিরাপদ পয়েন্টে গত এক মাসে কয়েকশত ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
গত এপ্রিল মাসে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে মির্জাপুরের গোড়াই নামক এলাকায় দুই গ্রুপের ছিনতাকাইকারীর ছুরিকাঘাতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় পৃথক দুইটি হত্যা মামলা হলে পুলিশের টনক নড়ে। কালিয়াকৈর থানার একদল চৌকস পুলিশ সদস্য গত কয়েকদিনে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার চাপাইর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ছিনতাইকারী গ্রুপের লিডার তামিম হোসেন (২৪), একই উপজেলার উত্তর হিজলতলী গ্রামের মাসুম রানার ছেলে ইকবাল হোসেন প্রিন্স (৩০), একই উপজেলার কুতুবদিয়া গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে মাসুদ (২২), আশাপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে সজল (২২) ও সুমন মিয়া (৩২) এবং টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার কামাফাবাড়ী এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে। এদের মধ্যে ইকবাল হোসেন প্রিন্স ও সজল গাজীপুর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। অপর ৩ জনকে গাজীপুর জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এর আগে গত ১ মে এসআই ভজন চন্দ্র রায় আরেকটি গ্রুপের ভয়ংকর ছিনতাইকারীর সদস্য রাজা মিয়া, রঞ্জু মিয়া ও রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। তবে এই তিন ছিনতাইকারী রফিকুল ইসলাম নামের এক প্রাইভেটকার চালককে খুনের কথা স্বীকার করেন বলে পুলিশ জানান।
কালিয়াকৈর থানার এসআই আব্দুল হাকিম জানান, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে এ মহাসড়কে ছিনতাইতাই করে আসছিলো। নগদ টাকা, মোটরসাইকেলসহ যানবাহনের মূল্যবান জিনিসপত্র ভয়ভীতি দেখিয়ে লুট করে নিয়ে যেত। একটি মোটরসাইকেল ছিনতাই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলাকার তিনটি গ্রুপের মধ্যে দুইটি গ্রুপের ভয়ংকর ছিনতাইকারীর সদস্য আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল