করোনার কারণে এ বছর এক ভিন্ন ঈদ উদযাপন করছে দেশবাসী। কোথাও নেই কোনো উৎসবের আমেজ। এমনকি প্রতিবছর দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত যেখানে হয় কিশোরগঞ্জের সেই ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠের চিত্রও এবার ভিন্ন।
সরকারের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে প্রায় দুইশ বছরের প্রাচীন দেশের সবচেয়ে বড় এই ঈদগাহে এ বছর জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি!
প্রতিবছর এই মাঠে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাতে লাখ লাখ মুসল্লি অংশ নেয়। কিন্তু আজ সোমবার সেখানে ছিল কোলাহলহীন শূন্য মাঠ। শুধু শোলাকিয়ায় নয় এবার জেলার কোনো খোলা জায়গায় বা ঈদগাহে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়নি।২০০ বছরের ইতিহাসে কোনোদিন কোনো দুর্যোগে বন্ধ থাকেনি শোলাকিয়ার ঈদের জামাত। এমনকি ২০১৬ সালে মাঠের অদূরে জঙ্গী হামলার পরও মুখরিত ছিল শোলাকিয়া। সেদিনও হয়েছে ঈদের জামাত।
তবে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত না হলেও জেলা শহরে ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল ইসলাম। আজ সোমবার সকাল ৮ টা ও ৯টায় এ মসজিদে দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজে শেষে করোনা দুর্যোগ থেকে মানবজাতিকে উদ্ধারের জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। তাছাড়া মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয় মোনাজাতে।
একই সঙ্গে জেলা শহরের প্রাচীন পাগলা মসজিদে অনুষ্ঠিত তিনটি ঈদ জামাতেও বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়াও জেলার সকল মসজিদে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, ঈদের দিন লাখো মানুষ শোলাকিয়ায় নামাজ আদায় করেন। এখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করা কঠিন বিষয়। মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শোলাকিয়ার ঈদের জামাত বন্ধ রাখা হয়। ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল