নড়াইলের নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বর) ও ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম শিকদার (৪৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান কায়েসকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬। 

আজ শুক্রবার (৫ জুন) সকালে কায়েসকে নড়াগাতি থানায় হস্তান্তর করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বিকেলে যশোরের বেজপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকসানা খাতুন। 

হত্যাকাণ্ডের আগে কাইয়ুম শিকদার, নড়াগাতি থানা কৃষকলীগের সভাপতি কলাবাড়িয়া গ্রামের আবুল হাসনাত মোল্যা এবং একই গ্রামের আপন দুই ভাই মতিয়ার মল্লিক ও সজীব মল্লিক দু’টি মোটরসাইকেলযোগে কালিয়া উপজেলা সদর থেকে বাড়িতে ফেরার পথে কালিনগর এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা তাদের গতিরোধ করে চারজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। 

স্থানীয় লোকজন গুরুতর জখম কাইয়ুম শিকদারকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে তার মৃত্যু হয়।নিহত কাইয়ুম নড়াগাতির বিলাফোর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী ওরফে হাসু শিকদারের ছেলে। এ ঘটনায় আহত অপর তিনজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ২৯ মে রাতে কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান কায়েসকে প্রধান আসামি করে ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন নিহত আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে নাইমুল ইসলাম মিল্টন। এছাড়া এ মামলায় ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। 

মামলার বাদি নাইমুল ইসলাম মিল্টন জানান, তার বাবা পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। ২০১৩ সালে অবসরে আসেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দলের অধিনায়কও ছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) নির্বাচিত হন। 

নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকসানা খাতুন বলেন, ইউপি সদস্য কাইয়ুম শিকদার হত্যা মামলায় প্রথম গ্রেফতার হওয়া আসামি মাহামুদুল হাসান কায়েসকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে জোরালো চেষ্টা  চলছে।

বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ