করোনার হটস্পট বগুড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রবিবার ঢাকা ও বগুড়ায় পরীক্ষা করা ৭৭৩টি নমুনায় সর্বোচ্চ ১৬১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ায় জেলায় মোট ৭৯০ জন আক্রান্ত হলেন। বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন রবিবার রাত ৮টার দিকে জেলার সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে ব্রিফিং করেন।
ব্রিফিংএ তিনি জানান, রবিবার ৭৭৩টি নমুনার মধ্যে ৫৫০টি নমুনা ঢাকায় পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই নমুনাগুলো গত ৩০ ও ৩১ মে সংগ্রহ করা হয়েছিল। আর বাকি ২২৩টি নমুনার মধ্যে ১৮৮টি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে (শজিমেক) এবং ৩৫টি পরীক্ষা করা হয়েছে বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে। ঢাকায় পরীক্ষা করা ৫৫০টি নমুনার মধ্যে ১০২টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। আর শজিমেকের পিসিআর ল্যাবে ১৮৮টির মধ্যে ৪১জনের পজিটিভ এবং টিএমএসএস মেডিকেল কলেজে বগুড়ার ৩৫টি নমুনার মধ্যে ১৮টি পজিটিভ এসেছে।
এতে নতুন করে আক্রান্ত ১৬১ জনের মধ্যে বগুড়া সদরের বাসিন্দা রয়েছেন ১১৮ জন। এছাড়া শাজাহানপুরের ১১ জন, গাবতলীর ১১ জন, শিবগঞ্জের ৫ জন, কাহালুর ৩ জন, সোনাতলার ৮ জন, শেরপুরের ১ জন, দুপচাঁচিয়ার ২ জন এবং আরও ২ জন নন্দীগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা।
বগুড়া সদরের বাসিন্দাদের মধ্যে অধিকাংশের বাড়ি চেলোপাড়া, জলেশ্বরীতলা, নাটাইপাড়া, কাটনারপাড়া, ঠনঠনিয়া ও সেউজগাড়ি এলাকায়।
জানা গেছে, জেলায় সর্বপ্রথম ১ এপ্রিল করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। এদিকে এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই নারীসহ ৭ জনের মৃত্যু হয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৫৩ জন। জেলায় এ পর্যন্ত ৬৪৪২টি পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুুহিন আরও জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৯৩২টি নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে ৬৪৪২টির। নমুনা পরীক্ষার হিসাবে জেলায় করোনায় আক্রান্তের হার ১২ দশমিক ২৬ শতাংশ। সুস্থ হয়েছেন ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ।
তিনি বলেন, নতুন আক্রান্তদের আপাতত নিজ নিজ বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে এদের মধ্যে কারও অবস্থা জটিল মনে হলে তাদের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ