নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় করোনাকালীন ত্রাণের ৩৬ বস্তা চাল বিক্রির লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় তা জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় ট্রলির চালক সাগর মিয়াকে (২০) আটক করা হয়।
সোমবার সকালে ১১ টার দিকে উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় বাজারে নেয়ার পথে পুলিশ ট্রলিটি আটক করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কেন্দুয়া উপজেলায় নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশে লিয়াকত মিয়ার ঘর থেকে ট্রলিতে করে প্লাস্টিকের বস্তায় চালগুলি পার্শ্ববর্তী বলাইশিমুল বাজারে নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় এক পুলিশ সদস্য স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পান। পরে তিনি গিয়ে ট্রলিটি থামান। পরবর্তীতে সহকারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেন্দুয়া সার্কেল) মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে লিয়াকত মিয়ার ঘর পরিদর্শন করেন। সেখানে রাখা এ সমস্ত চাল করোনাকালীন সময়ের ত্রাণের চাল ছিল বলে জানান তিনি।
এদিকে, দরিদ্র লিয়াকত মিয়ার ঘরে স্থানীয় রুবেল ও আশাদুলসহ আরও কয়েকজন জোর করে এসব চাল রেখে গেছেন বলে পুলিশের কাছে জানান লিয়াকত। পরে সোমবার সকালে একজন ট্রলি ডেকে এনে চাল তুলে দিয়ে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সটকে পড়েন।
পুলিশ এই চালের সাথে জড়িতদের খুঁজছে। এদিকে পুলিশ হেফাজতে ট্রলি চালক বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাগরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানায় পুলিশ।
ঘর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আরও খালি অবস্থায় ৮০ টি বস্তা উদ্ধার করে পুলিশ। পরে একটি মোটরসাইকেলসহ চালগুলো কেন্দুয়া থানা হেফাজতে রাখা হয়।
এ ব্যাপারে দুপুরে কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান জানান, এগুলো ভিজিএফের চাল। কার্ডধারীদের নিয়ে স্থানীয় সিন্ডিকেড বকুল মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২৬) এগুলো স্বল্প মূল্যে কিনে নেয়। তার বাড়ি উপজেলার বাদে আঠারোবাড়ি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও খুঁজে বের করবে পুলিশ। স্থানীয় আশাদুলকে সন্দেহ করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন