দূর থেকে মনে হতে পারে মাচায় লাউ-কুমড়া ঝুলছে। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখা মিললো এক নতুন চাষের মৌসুমি ফল। বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় শখের চাষি আব্দুস সালাম মাচায় চাষ করেছেন তরমুজ। বিদেশিজাতের এই তরমুজগুলোর নাম ‘ব্লাক কুইন’ ও ‘ ব্লাক বেবি’।
ইউটিউব দেখে শখের বসে এই ফলের চাষ এখন স্বপ্ন দেখাচ্ছে কৃষক আব্দুস সালামকে। তিন বিঘা জমিতে ব্লাক কুইন ও ব্লাক বেবি জাতের তরমুজ চাষ করে রীতিমতো এলাকায় সাড়া ফেলেছেন এই স্কুল শিক্ষক। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বড়াইদ গ্রামে নতুন পদ্ধতিতে এই মৌসুমি ফল চাষ করে বেশ সফলতা পেয়েছেন।
আব্দুস সালাম সরকার জানান, শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত থাকলেও বিকল্প আয়ের সন্ধানে তিনি ইউটিউব দেখে মাচায় তরমুজ চাষের পদ্ধতি শিখে ৮৬ শতক জমিতে তিনি তরমুজ চাষ করেন। তার পাশের জমির আরও তিনজনকে এই ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করেছেন। মোট ৪ বিঘা জমিতে এখন এই পদ্ধতিতে তরমুজের চাষ হচ্ছে।
আগামী সপ্তাহ থেকে বাজারজাত করা যাবে। প্রতিটি তরমুজের ওজন দুই থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত। তিন বিঘা জমিতে চাষ বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ বিশ হাজার টাকা। সব কিছু ঠিক থাকলে এই জমির তরমুজ তিন লাখ টাকা বিক্রি করা যাবে। এদিকে মাচায় তরমুজ চাষ দেখতে প্রতিদিন আশপাশের এলাকার কৃষকরা তার কাছে আসছেন। কীভাবে আগামীতে তারা নিজ নিজ জমিতে তরমুজ চাষ করবেন সে সম্পর্কে পরামর্শ নিচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
এলাকার একাধিক কৃষক জানান, সরকারি সহযোগিতা ও পরামর্শ পেলে এই পদ্ধতিতে তরমুজের চাষের বিস্তার ঘটবে। সেই সঙ্গে বেশি পরিমাণ জমিতে তরমুজের চাষ হলে এলাকার মানুষ কম দামে এই ফল খেতে পারবে। বাজারে তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষকও লাভবান হবেন।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. সারমিন আক্তার জানান, এখানে এই প্রথম মাচায় তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে ওই এলাকার যেসব কৃষক এই ফসল চাষ করেছেন তার অফিসের পক্ষ তাদের সব ধরণের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের আশাবাত ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়া এই পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ দেখে উৎসাহী হয়ে আগামিতে অনেকে চাষি নতুন পদ্ধতিতে এই মৌসুমি ফসল চাষে ঝুঁকে পড়বেন বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন