টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বয়স্ক, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধীর কাছ থেকে দুইশ টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিটি বইয়ের বিপরীতে এ টাকা নেয়া হয়। এই অভিযোগে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, পাকুটিয়া ইউনিয়নের বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীর প্রায় এক হাজার ২৫০টি কার্ড বিতরণের আগে তাদের কাছে দুইশত টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে তার কার্ড দেয়া হয় না। ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদারের মাধ্যমে এ কাজ করা হয়। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকেই দুইশত টাকা করে চৌকিদারের কাছে প্রদান করেন। পরে এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হলে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে কার্ডধারীদের টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেন।
এর আগে নতুন কার্ডধারীদের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা করে নেয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয় চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ভুক্তভোগীরা গত ২৭ মে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। স্থানীয় রাউতারা গ্রামের ইনসান আলী খলিফা, পাইকপাড়া গ্রামের কালু মিয়া, গ্রামের লাল মিয়া বলেন, চৌকিদার দুইশ টাকা করে নিয়া বই জমা নিছে। পাকুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম মিয়া বলেন, বয়স্ক লোকদের কাছ থেকেও দুইশ টাকা করে নিয়েছেন পাকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। চৌকিদারের মাধ্যমে টাকাগুলো উত্তোলন করা হয়।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হলে তিনি টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেন। নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এডভোকেট আজহারুল ইসলাম বলেন, বয়স্ক মানুষদের কাছ থেকে দুইশত টাকা করে নিয়ে আত্মসাত করেন চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান। কার্ড করার সময়ও তিন হাজার টাকা করে নেয়া হয়। পাকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। আমার মাধ্যমে কোন লেনদেন হওয়ার হয়নি । ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হয়।
এ ব্যাপারে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফায়েজুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ায় ঘটনাস্থলে গিয়ে টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারপরও অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন