বগুড়ায় বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পানি কমেছে ৭ সেন্টিমিটার। পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নত হয়নি। বগুড়ায় সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার বিকালে পানি কমে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সোনাতলায় এখনো নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আছে। তিন উপজেলায় পানি স্থির হয়ে আছে।
বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল জানান, জেলার তিনটি উপজেলা সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার যমুনা তীরবর্তী চরাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনটি উপজেলার ৮৮ টি গ্রাম এখনও পানির নিচে ডুবে আছে। ধুনট উপজেলার ভান্ডাবাড়ি ইউনিয়নে ১২টি গ্রামে যমুনার বন্যার পানি উঠেছে। এই ইউনিয়নের আউশ ধান, পাট, আখসহ বিভিন্ন ফসলে ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। তবে পানি বৃদ্ধি না পাওয়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতি হয়ে আছে।
উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরওয়ার আলম জানান, উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়নে বাসিন্দারা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে চর এলাকার ৬টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে। বন্যায় আক্রান্তদের জন্য ১৭টি আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। ২১টি নলকূপ, ২৭টি সেনিটারি ল্যাট্রিন বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৩৩৫০ পরিবারের মাঝে জন প্রতি ১০ কেজি করে জিআর চাল, ১৫০০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বন্যায় আক্রান্তদের জন্য ১০০ মেট্রিক টন জিআর চাল জিআর এর ২০ লক্ষ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫০০টি তাবু চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, শুক্রবার গত কয়েকদিনে যত দ্রæত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ততটা দ্রæত পানি কমছে না। তবে এ পর্যন্ত প্রায় ৭ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। শুক্রবার বিকালে পানি কমে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার বন্যায় আক্রান্ত ইউনিয়ন গুলো হচ্ছে হাটশেরপুর, চালুয়াবাড়ি, কাজলা, কর্ণিবাড়ি, বোহাইল, কামালপুর, চন্দনবাইশা, কুতুবপুর, সদর, নারচী, ফুলবাড়ী, ভেলাবাড়ি ও সারিয়াকান্দি পৌরসভা। এসব ইউনিয়নে ১৪ হাজার ৪৫০ টি পরিবারের ৫৬ হাজার ২০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন