২৯ আগস্ট, ২০২০ ১৭:২৮

'মানুষ মরেও বেঁচে থাকে তার কর্মের মাধ্যমে'

দিনাজপুর প্রতিনিধি

'মানুষ মরেও বেঁচে থাকে তার কর্মের মাধ্যমে'

দিনাজপুর নাজমা রহিম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে একশ শিক্ষার্থীর মাঝে নাজমা রহিম বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। 

নাজমা রহিম বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত এম. আব্দুর রহিম-এর জ্যেষ্ঠ কন্যা জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা ডা. নাদিরা সুলতানা। 

শনিবার দিনাজপুর সদর উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের পাঁচকুড় উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দিনাজপুর নাজমা রহিম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১৭তম নাজমা রহিম বৃত্তি প্রদান করা হয়। ১০০ জন শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়। 

অনুষ্ঠানে পাঁচকুড় উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আব্দুল বাতেন শাহ্-এর সভাপতিত্বে বৃত্তি প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা ডা. নাদিরা সুলতানা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা ভালো মত লেখাপড়া করে পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে তোমরাও আরও মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারবে। তোমাদের হয়তো মনে হতে পারে এই ২৫শ’ কিংবা ১২শ’ টাকা তেমন কিছু না। কিন্তু যদি তোমরা মনের মধ্যে চিন্তা করো আমিও মানুষের জন্য কিছু করতে পারবো এটাই অনেক বড়, এটা করতে সাহস লাগে। 
তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে মাঝপথে বাল্য বিয়ে দিয়ে মেয়েদের ভবিষ্যৎকে নষ্ট করবেন না। মেয়েদের লেখাপড়ায় উৎসাহিত করলে যথাসময়ে তারা নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা যদি পায় নিশ্চয়ই তারা ভালো করবে। 

পাঁচকুড় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাতলুবুল মামুন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রয়াত এম আব্দুর রহিমের জামাতা ডা. লুৎফর রহমান, শংকরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইসহাক চৌধুরী, শংকরপুর স্কুল ও উথরাইল মাদ্রাসার সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম ও শংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ্ জামাল সরকার। 

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা ডা. নাদিরা সুলতানার পুত্র নাহিয়ান কবীর ও অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার পুত্র আন্তর্জাতিক বডি বিল্ডার্স খেলোয়াড় নাসিফ রহমান প্রমুখ। 

উল্লেখ্য, ২০০৪ ইং সাল থেকে ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে নাজমা রহিম বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এ বছর পাঁচকুড় উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩০জন শিক্ষার্থীকে প্রত্যেককে ২৫শ’ টাকা, শংকরপুর এম. দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩০ জন শিক্ষাথীকে প্রত্যেককে ২৫শ’ টাকা, এম. আব্দুর রহিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষার্থীকে প্রতেককে ১২শ’ টাকা এবং পাঁচকুড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০জন শিক্ষাথীকে প্রত্যেককে ১২শ’ টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হয়। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর