২৭ অক্টোবর, ২০২০ ১৯:৪৪

রাজারহাটের শাপলা বিল হতে পারে কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক শক্তি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

রাজারহাটের শাপলা বিল হতে পারে কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক শক্তি

প্রকৃতি প্রেমিকদের কাছে আনন্দ উপভোগের নতুন ঠিকানা কুড়িগ্রামের রাজারহাটের চাকিরপশার শাপলা বিল ও রৌমারীর নীলেরকঠি গ্রামের পাটাধোয়া বিল। যেখানে দেখা যায় শাপলা আর শাপলা।

প্রায় ৫০০ একর জমির ওপর চাকিরপশার বিলে শাপলা ফুল আষাঢ় মাস থেকে শুরু করে কার্তিকের শেষ পর্যন্ত ফুটতে থাকে। 

দারিদ্র্যপীড়িত জেলা কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক শক্তি হতে পারে এসব শাপলা ফুল। শুধু যে বিশুদ্ধতা আর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তা নয়, এসব ফুল খাদ্য এবং ওষুধি গুণ হিসেবেও সারা বিশ্বে সমাদৃত।

অপরদিকে, কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঐতিহাসিক নীলেরকঠি গ্রামের পাটাধোয়া বিলে প্রায় ১৫ একর জমিতে লাল শাপলা ফুলের দেখা মেলে। চোখ যত দূরে যায়, শুধুই ফুল আর ফুল। এ কারণে চাকিরপশার ও পাটাধোয়া বিল এখন শাপলা ফুল প্রেমিদের কাছে নানাভাবে সমাদৃত।

বিল দুটি এখন মানুষজনের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে। এসব বিলে সৌন্দর্য ও শাপলা ফুল দেখতে নৌকায় চরে ঘুরে ঘুরে সৌন্দর্য উপভোগ করেন ভ্রমণ পিপাসুরা। আর বর্ষাকালে কোনো কাজ না থাকায় ফুল তুলে বাড়তি আয় করেন স্থানীয়দের অনেকেই।

রাজারহাট মীর ইসমাইল হোসেন সরকারি কলেজের ছাত্রী শামীমা নাসরিন বলেন, চাকিরপশা শাপলা ফুলের জন্য বিখ্যাত একটি বিল। প্রতিবছর আমরা বান্ধবীরা মিলে এই বিলে এসে নৌকায় চরে ঘুরে ঘুরে আনন্দ উপভোগ করি।

স্থানীয় শাপলা ফুল ব্যবসায়ী করিম মিয়া জানান, শাপলা ফুল তুলে বিক্রি করি গ্রামে গ্রামে। অনেকেই এখানে এসেও নিয়ে যান। ১০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত শাপলা বিক্রি করি। এছাড়া শাপলা ফুলের মোচা খাবার হিসেবেও ব্যবহার হয়।

দারিদ্র্যপীড়িত এই জনপদে বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে শাপলা বিল দুটি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে, যদি সরকারিভাবে বিল দুটির পৃষ্ঠপোষকতা করা যায়। এছাড়াও শাপলা ফুল শাক-সবজির চাহিদা পূরণ করে এলাকার অনেক দরিদ্র শ্রেণির মানুষের। কারণ এটা খেতেও বেশ সুস্বাদু।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. শামসুদ্দিন মিয়া জানান, ‘সুগন্ধি’ বা ‘অ্যারোমা’ হিসেবে প্রসাধনী শিল্পে এ ফুলের ব্যবহার হচ্ছে। গবেষকরা প্রমাণ করেছেন, শাপলা ফুলের এন্টি অবেসোজেনিক ও এন্টি ডায়াবেটিক ওষুধি গুণ রয়েছে। ফলে শাপলা ফুল একদিকে ওষধি হিসেবে যেমন কার্যকরী, প্রোটিনযুক্ত সবজি হিসেবে খাবারের জন্যও বেশ উপকারী।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর