বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দু’দিনের হালকা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বেশ কিছু মাঠে আধা কাঁচা পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এ অবস্থায় মাটিতে নুয়ে পড়া ও পানিতে ডুবে থাকা ধান পরিপূর্ণ না হওয়া ও ধানের কালো কালো দাগ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
তাছাড়া কুশি ভরা ধানের ফুল ঝড়ো বাতাসে পড়ে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে চিটা হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। গত দু’ দিনের ঝড়ো হাওয়ায় আধা পাঁকা বিনা-৭, স্বর্ণা-৫, ব্রি-৭৮ ধানের ক্ষেত একেবারেই লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে। দেখলে মনে হয় ঝড়ো হাওয়ায় পাঁকা ধান ক্ষেতে যেন কেউ মই দিয়ে গেছে।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে আদমদীঘি উপজেলায় মোট ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। এবার আমন মৌসমের শুরু থেকে আবহাওয়া ফসলের অনুক‚লে থাকলেও গেল হঠাৎ দু’ দিনের ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে উপজেলার অধিকাংশ মাঠের আধা পাকা ধান ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের বিহিগ্রাম গ্রামের কৃষক মকলেছুর রহমান জানান, আমার প্রায় ২০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জামের আমন ধান চাষবাদ করেছে। কিন্তু গেল দু’ দিনের ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে আধা পাকা ধান গুলো পানিতে পড়ে একাকার হয়ে গেছে। যদি তারাতারি আবহাওয়া অনুকূলে আসে তাহলে হয়তো কিছুটা ক্ষতির পরিমাণ কম হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গেল দুই দিনের আবহাওয়া জনিত কারণে চলতি মৌসুমে ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমির আমন ক্ষেতের মধ্যে মাত্র ৫০ হেক্টর জমির ধানের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুক‚লে আসলে খুব তারাতারি পড়ে যাওয়া ধান গাছ গুলো আবার সোজা হয়ে যাবে এবং এর ফলে ফসলের তেমন কোন ক্ষতি হবে না বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিসার।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, দু’দিনের নিম্নচাপের প্রভাবে উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে আসলে খুব তারাতারি পড়ে যাওয়া ধান সেরে উঠবে।
তিনি আরও জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মাঠ পরিদর্শন করে ঝড়ো হাওয়ায় পড়ে যাওয়া ক্ষেতের ধানের চারটি করে গোছা এক সাথে বেঁধে দিয়ে দাঁড় করানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের। তাছাড়া ক্ষতির পরিমাণ দেখে পরবর্তীতে আমরা ব্যবস্থা নেব।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার