বগুড়ার কাহালু উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দু'গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ইট-পাটকেল ও রেললাইনের পাথর নিক্ষেপের কারণে পুলিশের এক এএসআই ও ৬ জন দলীয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এঘটনায় কমিটি ঘোষণা না করেই ফিরে এসেছেন সংগঠনের কেন্দ্রিয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে কাহালু পৌর মঞ্চে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে শুরু হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু, প্রধান বক্তা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, বিশেষ বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু, কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান সাহীন, সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান প্রমূখ।
নেতাকর্মীরা জানান, সম্মেলনের প্রথম পর্ব শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হলেও দ্বিতীয় পর্ব শুরুর আগেই সন্ধায় দু’গ্রুপের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল, রেললাইনের পাথর নিক্ষেপ শুরু হয়। এসময় সম্মেলন স্থলে থাকা ৩ শতাধিক চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১০/১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। দু'পক্ষের মারপিটের ঘটনায় কাহালু থানার এএস আই মাসুদ রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাব্বি, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রউফ সহ ৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এসময় নেতৃবৃন্দ ঘোষণা না করেই সম্মেলন স্থল ত্যাগ করেন।
বগুড়ার কাহালু থানার অফিসার ইনর্চাজ জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারপিটের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন