ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলমের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল সাইমা আক্তার (১৬) নামে এক মাদরাসা ছাত্রী। সাইমা আক্তার উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের সোনারগাঁও গ্রামের ফারুক মিয়ার মেয়ে এবং সোনারগাঁও জিলানীয়া মাদরাসার ছাত্রী।
সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উল আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে এই বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সোনারগাঁও গ্রামের ফারুক মিয়ার মাদরাসা পড়ুয়া কন্যা সাইমা আক্তারের বিয়ে ঠিক হয় একই উপজেলার গানপুর গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে সৌদী আরব প্রবাসী সোলাইমান ইসলাম বাবুর সাথে। উভয় পরিবারে সম্মতিতে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়। দুপুরে কনের বাড়িতে বর ও বরযাত্রী উপস্থিত হন। পরে স্থানীয় সচেতন লোকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলমকে বাল্যবিয়ের বিষয়টি অবহিত করলে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন। এ সময় কনের পিতা ফারুক মিয়া মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিবেন না মর্মে মুচলেকা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিকট। পরে বরপক্ষ বিয়ে না করিয়ে চলে যায়।
এ সময় খাড়েরা ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহাম্মদ খান ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রওনক ফারজানাসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বারগণ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উল আলম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন