২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:৩১

গ্রাম পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

গ্রাম পুলিশে চাকরি দেওয়ার
নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বগুড়ার শেরপুরে গ্রাম পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে গাড়ীদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দবির উদ্দীনের বিরুড় লাখ টাকা আত্মসাত করেন বলে রবিবার দুপুরে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। 
অভিযোগে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের চন্ডিজান গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে কিছু টাকার বিনিময়ে পরিষদে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে গাড়ীদহ ইউনিয়ন পরিষদের আয়া পদে টাকা নিয়ে ভুয়া নিয়োগ পত্র প্রদান করেন। এরপর তাকে গ্রাম পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন ওই চেয়ারম্যান।

ভুক্তভোগী মরিয়ম বেগম অভিযোগ করে বলেন, বিগত ২০১৯ সালের জুনে প্রথমে আয়া পদে ভুয়া নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে গাড়ীদহ ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশে চাকরি দেওয়ার আশ^াস দেন চেয়ারম্যান দবির উদ্দীন। এজন্য তিনি নিজে দেড় লাখ টাকা নেন। আর তার নির্দেশে জন্মসনদ ও  জাতীয় পরিচয়পত্রে জালিয়াতির মাধ্যমে বয়স কমাতেও টাকা খরচ করা হয়েছে। এরপর দীর্ঘসময় পার হলেও তাকে চাকরি না দিয়ে শুধু তালবাহানা করা হচ্ছে। 

বিষয়টি সম্পর্কে বক্তব্য জানতে চাইলে অভিযুক্ত উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দবির উদ্দীন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চাকরি দেওয়ার কথা বলে তিনি কোনো টাকা নেননি। এছাড়া বেশ কিছুদিন ধরেই ওই মহিলা এসব অভিযোগ করে আসছেন। কিন্তু কোনো প্রমাণ করতে পারেননি।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দাবি করেন তিনি।

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর