বাগেরহাটে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বাঘ, হরিণসহ বন্যপ্রাণী হত্যা বন্ধে শরণখোলা রেঞ্জে সব ধরনের পাশ-পারমিট বন্ধ করে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে বন বিভাগ। সুন্দরবনে বৈধ পাশ-পারমিট নিয়ে যেসব জেলে-বনজীবী গিয়েছিলো তাদের বন থেকে বেরিয়ে আসতে নির্দেশ দিয়েছে বন বিভাগ। তারপরও থামছে না সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী হত্যা।
বাগেরহাটে মাত্র তিন দিনে ৪টি মাথাসহ ১০৯ কেজি হরিণের মাংস ও ৫ জন চোরা শিকারী আটক হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর রাতে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বগুড়া ব্রীজের কাছ থেকে ৩টি মাথা ও ৪২ কেজি হরিণের মাংসসহ দুই চোরা শিকারীকে আটক করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। এরআগে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন রসুলপুর বেড়িবাঁধের উপর থেকে ২০ কেজি হরিণের মাংসসহ মিলন মোড়ল (৩৫) নামের এক পাচারকারীকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। শনিবার রাতে বাগেরহাটের মোংলার উপজেলার দিগরাজ বাজার এলাকা থেকে ৪৭ কেজি মাংস ও একটি হরিণের মাথাসহ ৩ চোরা শিকারীকে আটক করে কোস্টগার্ড।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দবন বিভাগ ও র্যার- ৮ সদস্যরা গত ১৯ জানুয়ারী রাতে সুন্দরবন সংলগ্ন উপজেলা শরণখোলার সদরের রায়েন্দা বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি পূর্ন বয়স্ক বাঘের চামড়াসহ মো. গাউস ফকির নামে এই চোরা শিকারিকে গ্রেফতার করে।
এরপর গত ২২ জানুয়ারী রাতে শরণখোলা রেঞ্জ এলাকা থেকে শিকার করে আনা ১৯টি হরিণের চামড়াসহ দুই চোরা শিকারী ও পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। এরপর নড়েচড়ে বসে বন বিভাগ। বাঘ, হরিণসহ বন্যপ্রাণী হত্যা বন্ধে অবশেষে শরণখোলা রেঞ্জে সব ধরনের পাশ-পারমিট বন্ধ করে রেড অ্যালার্ট জারি করে বন বিভাগ। গত ২৩ জানুয়ারী থেকে শরণখোলা রেঞ্জে বৈধ পাশ-পারমিট নিয়ে যেসব জেলে-বনজীবী গিয়েছিলো তাদের বন থেকে বেরিয়ে আসতে নির্দেশ দিয়েছে বন বিভাগ। সুন্দরবনে বাড়ানো হয়েছে বন বিভাগের টহল।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন মুঠোফোনে বলেন, জেলে-বনজীবীরা বৈধ পাশ-পারমিট নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবনে গিয়ে এখন বাঘ, হরিণ শিকার করে থাকে। সুন্দরবনের বাঘ, হরিণসহ বন্যপ্রাণী হত্যা বন্ধে শরণখোলা রেঞ্জে সব ধরনের পাশ-পারমিট বন্ধ করে রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে। প্রয়োজনে আরো কঠিন পদক্ষেপ নিতে বন বিভাগ পিছপা হবে না।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল