৪ মার্চ, ২০২১ ১৪:৪৬

সুন্দরবনে ডিম পেড়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির দুটি কচ্ছপ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

সুন্দরবনে ডিম পেড়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির দুটি কচ্ছপ

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে গত চার দিনে মধ্যে আরও একটি বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ ‘বাটাগুর বাসকা’ ২৩টি ডিম পেড়েছে। 

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্র পুকুর পাড়ে ২৭টি ডিম পাড়ার মাত্র চার দিনের মধ্যে আরও একটি কচ্ছপ ২৩টি ডিম পেড়েছে। দুটি কচ্ছপের পাড়া ৫০টি ডিম প্রাকৃতিক উপায়ে বালুর মধ্যে রাখা হয়েছে। ৬৫ দিন থেকে ৬৭ দিনের মধ্যে এসব ডিম থেকে বাচ্চা ফুটবে। 

বুধবার (০৩ মার্চ) রাত ১০টায় প্রজনন কেন্দ্রে পুকুর পাড়ে বালুর মধ্যে একটি বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপ ডিম পেড়েছে। ডিমগুলো প্রাকৃতিক উপায়ে বালুর মধ্যে রাখা হয়েছে। ৬৫ থেকে ৬৭ দিনের মধ্যে এসব ডিম থেকে বাচ্চা ফুটবে বলে জানিয়েছে সুন্দরবন বিভাগ।  

সুন্দরবনের করমজলের বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, '২০০০ 
সাল থেকে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ৮টি বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপের সন্ধান অবশেষে ২০০৮ সালে আমাদের দেশের নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে মেলে।'

তিনি আরও বলেন, 'করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে থেকে ২০১৭ সালে ২টি, ২০১৮ সালে ৫টি, ২০১৯ সালে ৫টি বাটাগুল বাসকা কচ্ছপ সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে অবমুক্ত হয়েছে।'

এই ৮টি বাটাগুর বাসকার মধ্যে ছিল ৪টি পুরুষ ও ৪টি স্ত্রী। ২০০৮ সালেই প্রজননের জন্য ৮টি বাটাগুর বাসকা গাজীপুরে নিয়ে যায় বন বিভাগ। কয়েক বছরে ৯৪টি বাচ্চা দিয়েছিল ৮টি মা বাটাগুল বাসকা। 

সেখানে ভালো প্রজনন না হওয়ায় ২০১৪ সালে মূল ৮টি বাটাগুর বাসকা ও তাদের জন্ম দেওয়া ৯৪টি ছানা করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এই কেন্দ্রে ২০১৭ সালে দু’টি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের ৬৩টি ডিম থেকে ৫৭টি বাচ্চা জন্ম নেয়। 

এরপর, ২০১৮ সালে দু’টি কচ্ছপের ৪৬ ডিম থেকে ২১টি বাচ্চা, ২০১৯ সালে একটি কচ্ছপের ৩২টি ডিম থেকে ৩২টি বাচ্চা, ২০২০ সালের ১০ মে একটি কচ্ছপের ৩৫টি ডিম থেকে ৩৪টি বাচ্চা জন্ম নেয়।
 

 

বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর