মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটী গ্রামে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দু-দফা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, সাহারবাটী গ্রামের মৃত মাবিয়া মহল্লাদারের ছেলে বদরুজ্জোহা (৫২) ও শামসুজ্জামান (৭০), মৃত ওমির আলীর ছেলে ইসলাম হোসেন (৫৮), ইসলাম হোসেনের ছেলে সুজন আলী (২৭) একই গ্রামের আমানুর রহমান (৪০)। অন্যপক্ষের আঘাতপ্রাপ্ত হলেন- মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম টুটুল (২৭)।
শনিবার সাহারবাটী গ্রামে দু’দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে গাংনী স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার সকালে সাহারবাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফারুক ও মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম টুটুলের লোকজনদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে সাহারবাটী চারচারা বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম টুটুলের লোকজন মধ্যে হঠাৎ সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় উভয়পক্ষ ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এক পর্যায়ে টুটুলের লোকজন গোলাম ফারুকের পক্ষের তিনজনকে হামলা করে রক্তাক্ত করে। পরে গোলাম ফারুকের লোকজন টুটুলকে লক্ষ্য করে ইট মারেন। ইটের আঘাতে টুটুল আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে ৪টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহতদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম টুটুল জানান, আমি আগামি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হবার ঘোষণা দিয়েছি। প্রার্থী হবার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে বর্তমান সাহারবাটী ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক নানাভাবে আমাকে ক্ষতি করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সাহারবাটী গ্রামের একটি চায়ের দোকানের পাশে চেয়ারম্যান গোলাম ফারুকের লোকজন আমাকে ও আমার লোকজনের উপর হামলা করবে, এমন খবর পেয়ে প্রতিহত করতে গিয়ে হাতাহাতি হয়। এর পরের দিন শনিবার সকালের দিকে ফারুক চেয়ারম্যানের লোকজন লাঠি-সোটা ও বোমা নিয়ে আমাকেসহ আমার লোকজন ধাওয়া করেন। এক পর্যায়ে আমাদের লক্ষ্য করে পরপর ৪টি বোমা নিক্ষেপ করেন। তবে প্রাণে বেঁচে যাই।
এ বিষয়ে সাহারবাটী ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফারুক পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, রাকিবুল ইসলাম টুটুল তার লোকজন নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাহারবাটী গ্রামের ইসলাম হোসেনের ছেলে সুজনসহ ২ জনকে হামলা করে। হামলার ঘটনায় শনিবার সকালে থানায় যাওয়ার সময় সাহারবাটী চারচারা বাজারে আহত সুজনের বাবা ইসলাম হোসেনকে বাঁধা প্রদান করেন। এসময় আশে-পাশের লোকজন ঠেকাতে আসলে একাধিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে আহত করেন।
হামলার খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটিদল পরিস্থিতি শান্ত করতে সাহারবাটী গ্রামে রয়েছে। গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ